ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন নিজেই

অনলাইনে আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করলে মূল NID Card হাতে পেতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। এসময় আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।

সিম উত্তোলন, পাসপোর্ট তৈরি, ভোটার হওয়া, ব্যাংক একাউন্ট খোলা, ট্রেড লাইসেন্স তৈরি, সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়, চাকরির ক্ষেত্রে ইত্যাদি নানা প্রয়োজনে ভোটার আইডি কার্ড লাগে। তবে ভোটার আইডি কার্ডের সরকারি হালনাগাদ করা কপি (মূল কপি) পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। তাই এই সময় nid card online copy ব্যবহার করা যায়।

অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে আপনার এনআইডি কার্ড চেক করুন। আইডি কার্ড প্রস্তুত হলে ডাউনলোড করতে পারবেন। অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার বিস্তারিত প্রক্রিয়াটি থাকছে এই আলোচনায়।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড | Nid Card Download

নতুন আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে/সার্ভারে সেই আইডি কার্ডের তথ্য যুক্ত করা হয়। তাই ১৫ দিনের মধ্যেই অনলাইনে আইডি কার্ড চেক করে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। 

তবে পুরাতন ভোটার হলে, আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে বা তথ্য সংশোধন করলে অনলাইনে রি ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে। রিং ইস্যু কার্যক্রম সম্পন্ন হলে অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

তাৎক্ষণিক নানা প্রয়োজনে আইডি কার্ডের অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে হয়। এসময় NIDW ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ফর্ম নাম্বার/এনআইডি নাম্বার, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা পূরণ করে রেজিস্টার করুন। তারপর মোবাইল নাম্বার ও ফেইস ভেরিফাই করে ড্যাশবোর্ড থেকে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। 

আরও পড়তে পারেনঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৪

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে কি কি লাগে 

আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে NID নম্বর/ ফরম নম্বর নিয়ে ব্যক্তি নিজে উপস্থিত থাকতে হবে। এ সময় আপনার প্রয়োজন হবে-

  • ফরম নম্বর/ জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর বা মোবাইলে মেসেজে আসা NID নম্বর।
  • জন্ম তারিখ। (DD/MM/YYYY – ফরম্যাটে)
  • বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য। (বিভাগ, জেলা, উপজেলা)
  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার। (OTP ভেরিফিকেশন করতে)
  • NID Wallet ব্যবহার করার জন্য স্মার্টফোন।
  • ইন্টারনেট কানেকশন।
  • যে ব্যক্তির আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন তিনি নিজে।

আরও পড়তে পারেনঃ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার অনলাইন আবেদন ও যা যা লাগে

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম 

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রথমে, উপরোক্ত প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুগুলো সংগ্রহ করুন। একইসাথে আপনার স্মার্টফোনে NID Wallet অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করুন। 

এবার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:-

ধাপ ১: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে ভিজিট

প্রথমেই, আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে https://services.nidw.gov.bd/ – এই লিংকে ভিজিট করুন। আপনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের মূল ইন্টারফেসে প্রবেশ করবেন। এখান থেকে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য ‘রেজিস্টার করুন’ বাটনে ক্লিক করুন।

nidw registration

আরও পড়তে পারেনঃ ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম ২০২৪

ধাপ ২: NIDW ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করুন

এবার অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত ফর্ম আসবে। এখানে প্রথম অংশে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা ভোটার স্লিপ নম্বরটি লিখুন। তারপর পর্যায়ক্রমে জন্ম তারিখের দিন, মাস ও বছর (DD/MM/YYYY – ফরম্যাটে) পূরন করুন। তারপর, ক্যাপচা ঘরে থাকা ভেরিফিকেশন কোডটি নিচের ঘরে সঠিকভাবে লিখুন। সর্বশেষ, ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার

ধাপ ৩: আইডি কার্ডের ঠিকানার তথ্য যাচাই করুন

আপনার আইডি কার্ডের আবেদনের সময় যে ঠিকানা লিপিবদ্ধ করেছিলেন তা এখানে সিলেক্ট করতে হবে। সেই তথ্য অনুযায়ী, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে আপনার বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করুন। তারপর একইভাবে এনআইডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানার তথ্য পূরণ করুন। সঠিকভাবে সকল তথ্য পূরণ করার পর ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন।

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড ঠিকানা যাচাই

ধাপ ৪: মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করুন 

এই ধাপে, আপনার মোবাইলে OTP ভেরিফাই করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ভোটার আইডি কার্ড আবেদনের সময় ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে NIDW সার্ভারে লিপিবদ্ধ থাকবে। আপনার কাছে সেই নাম্বারটি সচল অবস্থায় থাকলে বার্তা পাঠান লেখাতে ক্লিক করুন। 

nid card download mobile verification

স্ক্রিনে প্রদর্শিত মোবাইল নাম্বার আপনার সাথে না থাকলে, নিচের ‘মোবাইল পরিবর্তন’ লেখাতে ক্লিক করুন। এবার আপনার হাতে থাকা সিম নাম্বার টি লিখুন। তারপর ‘বার্তা পাঠান’ বাটনে ক্লিক করুন। আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বারে ৬ সংখ্যার একটি OTP কোড আসবে। ওয়েব পেইজের কোড যাচাই করুন ঘরে সেই OTP কোডটি সঠিকভাবে লিখে ‘বহাল’ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৫: ফেইস ভেরিফাই করুন

তথ্যভিত্তিক নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে ফেইস ভেরিফিকেশনকে বাধ্যতামূলক করেছেন। এর ফলে যার এনআইডি কার্ড শুধুমাত্র তিনি নিজে উপস্থিত থেকেই আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

এই ধাপে, ওয়েবপেইজে ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য একটি QR কোড দেখতে পাবেন। 

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড ফেইস ভেরিফাই

আপনার অন্য একটি স্মার্টফোনে পূর্বে ডাউনলোড করা NID Wallet অ্যাপসে প্রবেশ করে QR কোডটি স্ক্যান করুন। তবে, একই মোবাইল ব্যবহার করেও ওয়েবসাইট ও NID Wallet অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। সে ক্ষেত্রে QR Code টি ট্যাপ করে রেখে লিংক কপি করুন। তারপর NID Wallet অ্যাপসে পেস্ট করুন।

এবার, অ্যাপসের Start Face Scan লেখাতে ক্লিক করে ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন। মোবাইলের সেলফি ক্যামেরার সামনে আপনার চেহারা সঠিকভাবে তুলে ধরুন। তারপর সামনের দিকে, ডানে ও বামে তাকালেই ফেইস ভেরিফাই হয়ে যাবে। ফেইস ভেরিফাই সম্পন্ন হলে, ওয়েবপেজ রিডাইরেক্ট হয়ে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাবে‌।

ধাপ ৬: পাসওয়ার্ড সেট করুন

এই ধাপে, আপনার এনআইডি কার্ডের ব্যক্তিগত প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড সেট করতে বলা হবে। আপনি চাইলে এই ধাপটি এড়িয়ে যেতে পারেন। তবে,

পরবর্তীতে পূনরায় নিবন্ধন না করে সহজেই এই অ্যাকাউন্টে লগইন করার জন্য এবং অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তার জন্য একটি পাসওয়ার্ড সেট করে নিন।

একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে আপডেট করে, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে নিবন্ধন সম্পন্ন করুন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পাসওয়ার্ড সেট করুন

ধাপ ৭: ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন 

নিবন্ধন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (NIDW) আপনার আইডি কার্ডের একটি ব্যক্তিগত প্রোফাইলে তৈরি হবে। এখানে থেকে আপনার আইডি কার্ড সংশোধন, রিইস্যু, একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ও ভোটার আইডি আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে এখান থেকে ‘ডাউনলোড’ অপশনে ক্লিক করুন।

ব্যাস, আপনার ভোটার আইডি কার্ডের PDF কপি ডাউনলোড হয়ে যাবে। ডাউনলোড করার কপিটি প্রিন্ট করে ও ল্যামিনেশন করে যেকোনো সরকারি ও বেসরকারি কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ – ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর/ ফর্ম নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করুন। 

বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিন এবং মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করুন। তারপর মোবাইলে NID Wallet অ্যাপসের মাধ্যমে ফেস ভেরিফাই করে পাসওয়ার্ড সেট করুন। এবার এনআইডি কার্ডের পার্সোনাল ড্যাশবোর্ড ওপেন হলে ডাউনলোড অপশন থেকে NID Card বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধনের জন্য আবেদন করলে- ক, খ, গ ও ঘ ক্যাটাগরির সংশোধনের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ সময় নেওয়া হয়। তথ্য সংশোধনের পর আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে উপরের জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম অনুসরণ করে আপনার সংশোধিত NID Card হাতে পাবেন।

শেষকথা

নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করলে সরকারিভাবে তার মূল কপি পেতে কয়েক মাস থেকে বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই উপরোক্ত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম অনুসরণ করে অনলাইন কপি ডাউনলোড করুন। মূল আইডি কার্ডের মতই সর্বত্র এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

FAQ’s

জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / জন্ম তারিখ ভুল দেখায় কেন?

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এখনো অনলাইনে লিপিবদ্ধ হলে এসকল তথ্য ভুল দেখায়। এক্ষেত্রে ফরম নাম্বারের পূর্বে NIDFN যুক্ত করে সমাধান পেতে পারেন। তারপরও তথ্য ভুল দেখালে কিছুদিন অপেক্ষা করুন।

ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করনীয় কি?

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার পূর্বে ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে- প্রথমে, ভোটার লিস্ট থেকে আপনার ভোটার নাম্বারটি সংগ্রহ করুন। তারপর উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করলে সমাধান পাবেন।

হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবো কিভাবে?

ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে বা পুরাতন হয়ে নষ্ট হয়ে গেলে স্থানীয় থানায় জিডি করে অনলাইনে রিইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে সরাসরি উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে কিংবা NIDW ওয়েবসাইটে নিজে নিজে আবেদন করুন। আবেদনের জন্য বিকাশের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হয়।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে কত টাকা লাগে?

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট nidw.gov.bd – থেকে বিনামূল্যে এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে কোন আইটি সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে তার PDF কপি প্রিন্ট ও ল্যামিনেশন করতে খরচ হতে পারে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *